পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার: ২০২০

আজ কিছুক্ষণ আগে পদার্থ বিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এবছর তিনজন বিজ্ঞানীকে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমজন হলেন ব্রিটিশ গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানী রজার পেনরোজ। যাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। যারা স্টিফেন হকিং এর লেখা এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম বইটি পড়েছেন, তারা রজার পেনরোজের নাম এবং কাজের সাথে পরিচিত। ‌ রজার পেনরোজ ব্ল্যাকহোল নিয়ে অনেক মৌলিক গবেষণা করেছেন। তাকে এ বছরের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে যে কাজটির জন্য সেটি তিনি করেছিলেন ১৯৬৫ সালে। অর্থাৎ এখন থেকে ৫৫ বছর আগে। সে বছর তিনি আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে ব্ল্যাকহোলের গঠনের সবিস্তার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তাঁর গবেষণায় তিনি দেখিয়েছিলেন ব্ল্যাকহোলের সিঙ্গুলারিটিতে স্থান এবং কাল একাকার হয়ে যায়। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মগুলো সেখানে খাটে না। তাঁর মৌলিক গবেষণার ফলেই বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়েছিলেন।   
এ বছর নোবেল প্রাইজের বাকি অর্ধেক দেওয়া হয়েছে অপর দুজন বিজ্ঞানীকে যারা সর্বপ্রথম মহাকাশে ব্ল্যাকহোল শনাক্ত করতে পেরেছিলেন। এদের একজন হলেন, জার্মান বিজ্ঞানী রেইনহার্ড গেনজেল এবং অপর জন হলেন আমেরিকান বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রিয়া গেজ। ১৯৯০ সালে পৃথক গবেষণায়  তাঁরা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে একটি সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের সন্ধান পেয়েছিলেন। যার নাম হলো স্যাজিটেরিয়াস এ। এই ব্ল্যাকহোলটির ভর হলো ৪০ লক্ষ সূর্যের ভরের সমান।

পরবর্তীতে অবশ্য বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বে আরো অনেক ব্ল্যাকহোলের সন্ধান পেয়েছেন। বর্তমানে ধারণা করা হয় প্রতিটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রেই একটি করে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল রয়েছে।

এ বছরের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে এমন তিনজন বিজ্ঞানীকে যারা তাঁদের যুগান্তকারী মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে ব্ল্যাকহোলের গঠন প্রকৃতি ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি মহাকাশে এর অস্তিত্বও খুঁজে পেয়েছেন। তাঁদের গবেষণা পরবর্তী প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের জন্য ব্ল্যাকহোল নিয়ে আরো অনেক গবেষণা করার পথ প্রশস্ত করেছে। এবছরের নোবেল পুরস্কার অর্জনের জন্য এই তিনজন "ব্ল্যাকহোল" বিজ্ঞানীকে  জানাই অভিনন্দন। ‌  

Comments