আজ হিরোশিমা দিবস। আজ থেকে ৭৬ বছর আগে, ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে, জাপানের হিরোশিমা শহরের উপর মার্কিন বি ২৯ বোমারু বিমান থেকে একটি পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিলো। ভয়াবহ এই পারমাণবিক বিস্ফোরণের ফলে সেদিন লক্ষাধিক মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণ হারিয়েছিলেন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিলো হিরোশিমা শহর। এর তিনদিন পর, ৯ আগস্ট দ্বিতীয় পারমাণবিক বোমা হামলা চালানো হয় জাপানের নাগাসাকি শহরের উপর। পারমাণবিক বোমার আঘাতে ঐ শহরটিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিলো। তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় লাখখানেক মানুষ। পর পর দুটো পারমাণবিক বোমার ধ্বংসলীলা দেখে সারা পৃথিবীর মানুষ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। পারমাণবিক বোমার ভয়াবহতা দেখে জাপান সরকার নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ মেনে নিয়েছিলো। দুটো পারমানবিক বোমা বিস্ফোরণের পর দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।
পরবর্তীতে পারমাণবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তার বিরূপ প্রভাবে আরো কয়েক লক্ষ মানুষ পঙ্গু হয়ে গেছেন অথবা তিলে তিলে মৃত্যু বরণ করেছেন। যুদ্ধ মানুষকে কতটা নিষ্ঠুর এবং নির্মম করে তুলতে পারে হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। এর মাধ্যমে মানব ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক করুণ অধ্যায় রচিত হয়েছিলো।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ থেমে গেলেও মানুষের পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা থেমে যায়নি। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ঠান্ডা যুদ্ধ বা কোল্ড ওয়ার। এর ফলশ্রুতিতে দুই দেশের অস্ত্র ভান্ডারে জমে উঠতে থাকে আরো আধুনিক এবং ভয়ঙ্কর সব পারমাণবিক অস্ত্র। পরবর্তীতে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে আরো কয়েকটি দেশ। বর্তমানে মোট নয়টি দেশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে। এরা হলো, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ইসরায়েল, ভারত, পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া। ধারণা করা হয়, এসব দেশের কাছে সম্মিলিতভাবে ১৫ হাজারের মতো পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে। পৃথিবীতে যদি কোনো কারণে তৃতীয় মহাযুদ্ধ হয় তাহলে মানব জাতির বিরুদ্ধে এসব অস্ত্রের ব্যবহার হবে এ ব্যাপারে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর, পারমাণবিক অস্ত্রের ভয়াবহতা দেখে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, তৃতীয় মহাযুদ্ধে কি ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে ? এর তিনি উত্তরে তিনি বলেছিলেন, তৃতীয় মহাযুদ্ধের কথা বলতে পারি না, তবে চতুর্থ মহাযুদ্ধে লাঠি আর পাথর ছাড়া আর কোন কিছু পাওয়া যাবে না। এই উক্তির মাধ্যমে আইনস্টাইন ভবিষ্যতে পারমাণবিক যুদ্ধের ফলে মানব সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবুও মানুষের পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা থেমে যায় নি। ভবিষ্যতে পারমাণবিক যুদ্ধের বিরুদ্ধে মানুষের একটাই রক্ষাকবচ রয়েছে। সেটা হলো পৃথিবীর সকল শান্তিপ্রিয় এবং শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আর হিরোশিমা নয়, এটাই হোক আজকের অঙ্গীকার।
পরবর্তীতে পারমাণবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তার বিরূপ প্রভাবে আরো কয়েক লক্ষ মানুষ পঙ্গু হয়ে গেছেন অথবা তিলে তিলে মৃত্যু বরণ করেছেন। যুদ্ধ মানুষকে কতটা নিষ্ঠুর এবং নির্মম করে তুলতে পারে হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। এর মাধ্যমে মানব ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক করুণ অধ্যায় রচিত হয়েছিলো।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ থেমে গেলেও মানুষের পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা থেমে যায়নি। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ঠান্ডা যুদ্ধ বা কোল্ড ওয়ার। এর ফলশ্রুতিতে দুই দেশের অস্ত্র ভান্ডারে জমে উঠতে থাকে আরো আধুনিক এবং ভয়ঙ্কর সব পারমাণবিক অস্ত্র। পরবর্তীতে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে আরো কয়েকটি দেশ। বর্তমানে মোট নয়টি দেশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে। এরা হলো, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ইসরায়েল, ভারত, পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া। ধারণা করা হয়, এসব দেশের কাছে সম্মিলিতভাবে ১৫ হাজারের মতো পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে। পৃথিবীতে যদি কোনো কারণে তৃতীয় মহাযুদ্ধ হয় তাহলে মানব জাতির বিরুদ্ধে এসব অস্ত্রের ব্যবহার হবে এ ব্যাপারে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর, পারমাণবিক অস্ত্রের ভয়াবহতা দেখে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, তৃতীয় মহাযুদ্ধে কি ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে ? এর তিনি উত্তরে তিনি বলেছিলেন, তৃতীয় মহাযুদ্ধের কথা বলতে পারি না, তবে চতুর্থ মহাযুদ্ধে লাঠি আর পাথর ছাড়া আর কোন কিছু পাওয়া যাবে না। এই উক্তির মাধ্যমে আইনস্টাইন ভবিষ্যতে পারমাণবিক যুদ্ধের ফলে মানব সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবুও মানুষের পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা থেমে যায় নি। ভবিষ্যতে পারমাণবিক যুদ্ধের বিরুদ্ধে মানুষের একটাই রক্ষাকবচ রয়েছে। সেটা হলো পৃথিবীর সকল শান্তিপ্রিয় এবং শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আর হিরোশিমা নয়, এটাই হোক আজকের অঙ্গীকার।
Comments