প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখেছে অসংখ্য নক্ষত্ররাজি হীরের মত জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। আর দিনের বেলায় আকাশে দেখেছে সূর্যকে। বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে মানুষ জানতে পেরেছে সূর্য ও আসলে একটি নক্ষত্র। অতি সাধারণ একটি নক্ষত্র। তাপ এবং আলো বিকিরণ করে সূর্য পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রেখেছে। মানুষের কাছে সূর্যের গুরুত্ব অপরিসীম।
বর্তমান যুগের বিজ্ঞানীরা জানেন, সূর্য মূলত হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম দিয়ে তৈরি। সূর্যের মধ্যে ভারী মৌলের পরিমান অতি সামান্য। অনান্য নক্ষত্রের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। আমাদের চেনা মহাবিশ্বে হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম এ দুটো মৌলিক পদার্থের আধিক্য রয়েছে। নক্ষত্রের ভেতরে প্রচন্ড তাপ এবং চাপের প্রভাবে হাইড্রোজেন পরমাণু ক্রমাগত হিলিয়াম পরমাণুতে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই পারমাণবিক প্রক্রিয়াটিকে বলে নিউক্লিয়ার ফিউশন। এই প্রক্রিয়াটির ফলেই নক্ষত্রের অভ্যন্তরে প্রচন্ড শক্তি উৎপন্ন হচ্ছে এবং নক্ষত্রটি প্রজ্বলিত হয়ে তাপ এবং আলো বিকিরণ করছে।
কিন্তু এখন থেকে মাত্র ১০০ বছর আগেও নক্ষত্রের পারমাণবিক গঠন সম্বন্ধে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল অত্যন্ত সীমিত। ১৯২০ সালে বাঙালি বিজ্ঞানী ডক্টর মেঘনাদ সাহা সর্বপ্রথম তাঁর উদ্ভাবিত থার্মাল আয়োনাইজেশন সমীকরণের মাধ্যমে নক্ষত্রের পারমাণবিক গঠনের ব্যাখ্যা দেন। এখানে বলে রাখি, মেঘনাদ সাহা ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাবান একজন পদার্থবিজ্ঞানী। তাঁর জন্ম হয়েছিলো ১৮৯৩ সালে ঢাকার অদূরে কালিয়াকৈরের কাছে শ্যাওড়াতলী গ্রামে। তিনি যখন তাঁর জগদ্বিখ্যাত "সাহা সমীকরণ" আবিষ্কার করেন, তাঁর বয়স ছিল মাত্র সাতাশ বছর। ওই বয়সেই তিনি বিজ্ঞানী হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন।
১৯২৫ সালে সাহা সমীকরণের সাহায্যে সৌররশ্মির তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করে জানা যায় সূর্য মূলত হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম দিয়ে তৈরি। এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটি করেছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মহিলা গবেষক। তাঁর নাম সিসিলিয়া পেইন। এটি ছিলো তাঁর পিএইচডির গবেষণার বিষয়।
সিসিলিয়া ছিলেন ব্রিটিশ। তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানে তাঁর গবেষণার প্রাথমিক কাজটি শুরু করেছিলেন স্যার আর্থার এডিংটনের অধীনে ক্যামব্রিজের অবজারভেটরিতে । কিন্তু সে সময় ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের ডিগ্রি দেওয়ার বিধান ছিল না। সেজন্য সিসিলিয়া বাধ্য হয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ডে চলে যান। সেখানে তিনি সৌর বর্ণালীর তাপমাত্রা নিয়ে প্রচুর পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা করেন। তিনি মেঘনাদ সাহার থার্মাল আয়োনাইজেশন সমীকরণ ব্যবহার করে বুঝতে পারেন, সূর্যের অভ্যন্তরে হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম এ দুটো মৌলিক পদার্থের আধিক্য রয়েছে। তাঁর গবেষণার ফলাফল সেই সময় অনেক প্রভাবশালী বিজ্ঞানী মেনে নিতে পারেননি। তাঁদের ধারণা ছিলো, পৃথিবী এবং সূর্যের মৌলিক গঠনের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। সিসিলিয়ার আবিষ্কারটি তাঁদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিলো। সিসিলিয়া হয়েছিলেন তাদের সমালোচনার শিকার। তাঁর বয়স তখন ছিল মাত্র ২৫ বছর।
একজন নারী হিসেবে পুরুষপ্রধান বিজ্ঞানী সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে সিসিলিয়াকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিলো। তবে পরবর্তীতে আরো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে সিসিলিয়া ছিলেন সম্পূর্ণ সঠিক। তাঁর পিএইচডি থিসিসটি সম্বন্ধে এখন বলা হয়, এটি ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি অনবদ্য গবেষণা। তবে মহিলা হিসেবে বিজ্ঞানের জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে সিসিলিয়াকে সারা জীবন সংগ্রাম করতে হয়েছিলো।
মেঘনাদ সাহা এবং সিসিলিয়া পেইন দুজনে ছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র। দুই জগতের বাসিন্দা হলেও দুজনেই ছিলেন অত্যন্ত প্রতিভাবান। অজানাকে জানার বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টাকে দুই ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাঁরা।
বর্তমান যুগের বিজ্ঞানীরা জানেন, সূর্য মূলত হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম দিয়ে তৈরি। সূর্যের মধ্যে ভারী মৌলের পরিমান অতি সামান্য। অনান্য নক্ষত্রের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। আমাদের চেনা মহাবিশ্বে হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম এ দুটো মৌলিক পদার্থের আধিক্য রয়েছে। নক্ষত্রের ভেতরে প্রচন্ড তাপ এবং চাপের প্রভাবে হাইড্রোজেন পরমাণু ক্রমাগত হিলিয়াম পরমাণুতে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই পারমাণবিক প্রক্রিয়াটিকে বলে নিউক্লিয়ার ফিউশন। এই প্রক্রিয়াটির ফলেই নক্ষত্রের অভ্যন্তরে প্রচন্ড শক্তি উৎপন্ন হচ্ছে এবং নক্ষত্রটি প্রজ্বলিত হয়ে তাপ এবং আলো বিকিরণ করছে।
কিন্তু এখন থেকে মাত্র ১০০ বছর আগেও নক্ষত্রের পারমাণবিক গঠন সম্বন্ধে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল অত্যন্ত সীমিত। ১৯২০ সালে বাঙালি বিজ্ঞানী ডক্টর মেঘনাদ সাহা সর্বপ্রথম তাঁর উদ্ভাবিত থার্মাল আয়োনাইজেশন সমীকরণের মাধ্যমে নক্ষত্রের পারমাণবিক গঠনের ব্যাখ্যা দেন। এখানে বলে রাখি, মেঘনাদ সাহা ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাবান একজন পদার্থবিজ্ঞানী। তাঁর জন্ম হয়েছিলো ১৮৯৩ সালে ঢাকার অদূরে কালিয়াকৈরের কাছে শ্যাওড়াতলী গ্রামে। তিনি যখন তাঁর জগদ্বিখ্যাত "সাহা সমীকরণ" আবিষ্কার করেন, তাঁর বয়স ছিল মাত্র সাতাশ বছর। ওই বয়সেই তিনি বিজ্ঞানী হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন।
১৯২৫ সালে সাহা সমীকরণের সাহায্যে সৌররশ্মির তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করে জানা যায় সূর্য মূলত হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম দিয়ে তৈরি। এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটি করেছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মহিলা গবেষক। তাঁর নাম সিসিলিয়া পেইন। এটি ছিলো তাঁর পিএইচডির গবেষণার বিষয়।
সিসিলিয়া ছিলেন ব্রিটিশ। তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানে তাঁর গবেষণার প্রাথমিক কাজটি শুরু করেছিলেন স্যার আর্থার এডিংটনের অধীনে ক্যামব্রিজের অবজারভেটরিতে । কিন্তু সে সময় ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের ডিগ্রি দেওয়ার বিধান ছিল না। সেজন্য সিসিলিয়া বাধ্য হয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ডে চলে যান। সেখানে তিনি সৌর বর্ণালীর তাপমাত্রা নিয়ে প্রচুর পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা করেন। তিনি মেঘনাদ সাহার থার্মাল আয়োনাইজেশন সমীকরণ ব্যবহার করে বুঝতে পারেন, সূর্যের অভ্যন্তরে হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম এ দুটো মৌলিক পদার্থের আধিক্য রয়েছে। তাঁর গবেষণার ফলাফল সেই সময় অনেক প্রভাবশালী বিজ্ঞানী মেনে নিতে পারেননি। তাঁদের ধারণা ছিলো, পৃথিবী এবং সূর্যের মৌলিক গঠনের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। সিসিলিয়ার আবিষ্কারটি তাঁদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিলো। সিসিলিয়া হয়েছিলেন তাদের সমালোচনার শিকার। তাঁর বয়স তখন ছিল মাত্র ২৫ বছর।
একজন নারী হিসেবে পুরুষপ্রধান বিজ্ঞানী সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে সিসিলিয়াকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিলো। তবে পরবর্তীতে আরো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে সিসিলিয়া ছিলেন সম্পূর্ণ সঠিক। তাঁর পিএইচডি থিসিসটি সম্বন্ধে এখন বলা হয়, এটি ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি অনবদ্য গবেষণা। তবে মহিলা হিসেবে বিজ্ঞানের জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে সিসিলিয়াকে সারা জীবন সংগ্রাম করতে হয়েছিলো।
মেঘনাদ সাহা এবং সিসিলিয়া পেইন দুজনে ছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র। দুই জগতের বাসিন্দা হলেও দুজনেই ছিলেন অত্যন্ত প্রতিভাবান। অজানাকে জানার বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টাকে দুই ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাঁরা।
Comments